শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
মোঃ আব্দুর রহিম রনি,শেরপুর : পিরোজপুর সদর উপজেলায় একটি প্রাইভেট কার খালে পড়ে দুই পরিবারের মোট আট সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের নুরানি গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী ও চারটি শিশু রয়েছে।নিহতদের মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলার একই পরিবারের চার সদস্য রয়েছেন। তাঁরা হলেন, সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মো. নাজিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মোতালেব (৩৬), মোতালেবের স্ত্রী সাবিনা আক্তার (৩০), মেয়ে মুক্তা (৯) ও ছেলে সোয়াইব (৪)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে নিহত মোতালেবের বাড়িতে প্রতিবেশী ও স্বজনেরা ভীড় করেছেন। এ সময় আহাজরি করছিলেন নিহত মোতালেবের বৃদ্ধা মা ময়না বেগম, বড় বোন লাভলী ও অন্য আত্মীয়-স্বজনেরা।মা ময়না বেগম বুক চাপড়িয়ে বলছিলেন, ‘অহন আমগরে দেখবো কে? কেমনে আমগরে সংসার চলবো? অসুস্থ মাইয়ার চিকিৎসার জন্য ওষুধ কিনা দিব কে?’বাবা নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘জানিনা আল্লাহ আমারে এ কেমন শাস্তি দিল। আমার পুরা সংসারটা ভাইঙ্গা গেল।’পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রঘুনাথপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে লাভলী বেগম বড়, আর ছেলে মোতালেব ছিলেন ছোট। লাভলী শারীরিকভাবে অসুস্থ। বাবার বাড়িতেই থাকেন।
বেসরকারি কর্মচারী হিসেবে প্রায় ১০ বছর যাবত মোতালেব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। নাজিম উদ্দিনের তেমন জমিজমা নেই। মোতালেবের আর্থিক সহযোগিতায় এই পরিবারটি চলত। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি পুরোপুরি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. ইন্তাজ আলী বলেন, নাজিম উদ্দিনের সংসারের সব খরচই বহন করতেন মোতালেব। তাঁর (মোতালেব) অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। এই পরিবারটিকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনী প্রধানের কাছে আবেদন জানান তিনি